নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ব্রেড, বিস্কুট ও বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী মালিক সমিতি’র যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন খাদ্য স্থাপনায় মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী কারখানায় মনিটরিং কালে খোলা ডাস্টবিন, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর, পোড়া তেল ব্যবহার, খাদ্যপণ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, হালনাগাদ কৃত ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, খাদ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য সংযোজন দ্রব্য (হাইড্রোজ) ব্যবহার সহ বিভিন্ন অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়।
প্রাথমিক ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলোকে সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন, কাস্টমার সার্ভিসের মানোন্নয়ন, উৎপাদিত পণ্যের গুনগত মানোন্নয়ন, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ, খাদ্য কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং পরিলক্ষিত অসঙ্গতি পরিহার করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এসময় “ভিআইপি বেকারি” ও “আল ইসলাম ফুড” প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক খাদ্যপণ্যে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন রাসায়নিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য আইন এবং বিধি বিধান সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে অংশীজনের মাঝে পোস্টার, লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করা হয়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রত্যেকেই দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উক্ত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন মোঃ মনিরুল ইসলাম,সভাপতি, ব্রেড, বিস্কুট ও বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী মালিক সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ ছফিউর রহমান ভূঁইয়া, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুধীন সূত্রধর, নমুনা সংগ্রহ সহকারী ও ফাহিম মিয়া, অফিস সহায়ক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
জনস্বার্থে এজাতীয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া ।
