মুনাফার পেছনে না ছুটে হোটেল রেস্তোরাঁয় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে –বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ এসডিজি বাস্তবায়নে দেশের হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই হোটেল রেস্তোরাঁ। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ কাজ করছে এ খাতে। যারা কাজ করছেন তাদের অধিকাংশই অদক্ষ এবং অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত।

এ খাতকে টেকসই করতে হলে নানা সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় হোটেল রেস্তোরাঁগুলোকে অবশ্যই মানসম্মত ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও উত্তর সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।

উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।

মালিকদের উদ্দেশে সেলিম রেজা বলেন, রেস্তোরাঁ মালিকদের মুনাফার পেছনে না ছুটে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভেজালমুক্ত খাবারের বিকল্প নেই।

জোবায়দুর রহমান বলেন, খাবার উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভেজালমুক্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের চেয়ে নিজেদের সচেতনতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা নজর দিলেই এ সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ফলে হোটেল রেস্তোরাঁর ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে।

কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না হওয়াসহ নানা কারণে সম্ভাবনাময় এ খাত থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এই খাতের উন্নয়ন ঘটানো প্রয়োজন।

ইমরান হাসান বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁর কাজে শিক্ষিত ও তরুণ জনশক্তিকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। দেশের ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে এই খাতের কোর্স অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। এজন্য একটি নীতিমালা দরকার। এ ছাড়া বর্তমানে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোকে তদারকি করছে ১২-১৩টি সংস্থা। ফলে অনেক ক্ষেত্রে মালিকরা হয়রানির শিকার হন। এ অবস্থায় একটিমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থাকলে সবদিক দিয়েই ভালো হবে। সেই সঙ্গে বিজিএমইএ’র মতো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিকে শক্তিশালী করতে হবে।

‘ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সমিতির মতামত নেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে মালিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। যাতে আমাদের খাবার খেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না হয়। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে নিরপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। যার যার স্থান থেকে সঠিক দায়িত্বপালন করতে হবে।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *