!! জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলার সহকারি পরিচালক মাসুম আলী বলেন, এখানে চারটি ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদনের মেয়াদ চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। এর পর সেটি নবায়ন করেনি। তবে তারা আবেদন করেছেন কিন্তু পদ ৪ টির অনুমোদনের চিঠি ইস্যু হয় নাই শুধুমাত্র আবেদন করে ই ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন অবৈধভাবে। এছাড়াও বায়ে হার্বস আয়ুর্বেদিক এর ম্যানুফ্যাকচার লাইসেন্স এর ব্যানারে একটি হেয়ার অয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন যার কোন প্রকার অনুমোদন নেই। কিন্তু অনুমোদন না থাকলেও তারা ওষুধ ও কসমেটিকস উৎপাদন করে আসছে। এছাড়াও সেখানে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন ক্যামিস্ট পাওয়া যায়নি। একজনকে নিয়োগ দেখানো হলেও সে ঢাকায় থাকে। কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওষুধ তৈরী করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, কারখানার ২ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। তারা সাথে সাথে সে অর্থ পরিষদ করেছে। এছাড়াও অনুমোদন হীন উৎপাদিত বেশ কিছু ওষুধ ধংস করা হয়েছে। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, নগরীর টুলটুলি পাড়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছোট একটি রাস্তার পাশে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের কারখানা !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার তানজিমুল হকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে মহানগরীর হড়গ্রাম টুলটুলি পাড়ায় বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কারখানার মূল ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তানজিমুলকে লাঞ্ছিত করা ছাড়াও তার গাড়ি ভাংচুর করে।
রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় তানজিমুল হক বাদী হয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। পরে পুলিশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে চার কর্মকর্তা-কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হিমেল (২৭), তুষার (৩৪), নাসির উদ্দিন (৪৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৮)। তারা সবাই বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারি।
এদিকে, সাংবাদিক নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা।
একজন ভোক্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বায়েহার্বস আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের অভিযোগে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলার সহকারি পরিচালক মাসুম আলী আজকের দেশ ডটকম কে বলেন, এখানে চারটি ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদনের মেয়াদ চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। এর পর সেটি নবায়ন করেনি। তবে তারা আবেদন করেছেন, আবেদন করে ই ওই ৪ টি ঔষধের উৎপাদ ও বাজারজাত করছেন এখনো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের চিঠি ইস্যু হয় নাই । কিন্তু অনুমোদন না থাকলেও তারা ওষুধের পাশাপাশি হেয়ার অয়েল সহ নানারকম কসমেটিক সামগ্রীর অবৈধ উৎপাদন করে আসছে। এছাড়াও সেখানে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন ক্যামিস্ট পাওয়া যায়নি। একজনকে নিয়োগ দেখানো হলেও সে ঢাকায় থাকে। কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওষুধ তৈরী করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, কারখানার ২ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। তারা সাথে সাথে সে অর্থ পরিষদ করেছে। এছাড়াও অনুমোদন হীন উৎপাদিত বেশ কিছু ওষুধ ধংস করা হয়েছে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, নগরীর টুলটুলি পাড়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছোট একটি রাস্তার পাশে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের কারখানা। প্রতিদিন কোম্পানির ৫/৭টি গাড়ি রাস্তার উপরে রেখে তারা মালামাল উঠা-নামানোর কাজ করে।
এতে করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এলাকাবাসী ভোগান্তিতে পড়েন।তিনি আরো বলেন, রোববার বেলা ১২ টার দিকে সাংবাদিক তানজিমুল হক সংবাদ সংগ্রহের কাজে বের হওয়ার সময় বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের মূল ফটকের সামনে তাদের গাড়ি থাকায় আটকে পড়েন তিনি।
এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তানজিমের ওপর চড়াও হন। তাকে মারধরের পাশাপাশি গাড়িও ভাংচুর করে তারা। এবিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ও রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাঈম গোলদারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি দেশের বাইরে থাকায় তিনি কোন প্রকার বক্তব্য দিতে অশ্বিকৃতি যানান। রাজশাহীর বায়েহার্বস আয়ুর্বেদিক এর মালিক শহীদ আলীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।
