ঝিনাইদহের ইউপি চেয়ারম্যান হিরোনের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

Uncategorized আইন ও আদালত

!! চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ নামে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার স্থাবর এবং গাড়ি, ব্যবসায়িক পুঁজি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স এবং আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে আরো জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানিভাতা, গৃহসম্পত্তি, কৃষি, জমি বিক্রয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে তার ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকা আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খাতে তার ব্যয় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ছয় হাজার ৪৩০টাকা !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর ৯ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যোন ও মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম হিরনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি আজকের দেশ কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি মো. শহিদুল ইসলাম হিরনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। শহিদুল ইসলাম হিরন ঝিনাইদহের ৯ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত হিরন ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলাধীন ১ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হন।
এছাড়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ নামে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার স্থাবর এবং গাড়ি, ব্যবসায়িক পুঁজি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স এবং আসবাবপত্র সহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন। মামলার এজাহার থেকে আরো জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানিভাতা, গৃহসম্পত্তি, কৃষি, জমি বিক্রয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে তার ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকা আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খাতে তার ব্যয় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ছয় হাজার ৪৩০টাকা।
আয়-ব্যয়ের হিসাব বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। এর বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় মোট এক কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার তিন টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসংগতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া যায়।
শহিদুল ইসলামের এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *