মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে প্রতিবেশীকে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে,আটক,মিলন নামের এক যুবক,অভিযুক্ত আসামি মিলন জানান,হবিবার রহমান (হবি),আরোব আলী ও তার স্ত্রী হিরা বেগম,আমাকে দিয়ে পারভেজ নামের এক জনকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য বলে,এবং আমি পারভেজ এর দোকানে হবিবর রহমানের কথায় ৪ পিচ ইয়াবা দিয়ে পারভেজকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে তার দোকানে ঢোকার সময় উপস্থিত মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে তারা আমাকে ৪পিচ ইয়াবাসহ আটক করে। নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের ময়েনখোলা গ্রামের মো:আনসার উদ্দিন মোল্যার ছেলে মো:পারভেজ মোল্যা (৩০),দীর্ঘ দিন ধরে ঘোড়াখালী ঘাটে মোদিদোকানের ব্যবসা করে আসছে। গত (১৪ নভেম্বর) সোমবার আনুমানিক সন্ধা ৬টার দিকে একই গ্রামের ময়েনখোলা গ্রামের আব্দুল গণি শেখ এর ছেলে মো:হবিবার রহমান (হবি) শেখ (৪২) তার স্বজন নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের লস্কারপুর গ্রামের মশিয়ার মোল্যা’র ছেলে মো:মিলন মোল্যা (২৬),কে দিয়ে একই গ্রামে’র ঘোড়াখালী ঘাটে অবস্থিত পারভেজ ষ্টোর এর মালিক পারভেজকে (৪ পিচ) ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের হাতে আটক হয়,পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী মিলন মোল্যা। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,সোমবার সন্ধায় মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি টিম ঘোড়াখালী ঘাটে অবস্থিত পারভেজ ষ্টোর অভিযান চালাতে গিয়ে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্তত্ব রত অফিসার শাহারিয়ার,মিলনে’র গতিবিধি সন্ধেহ হওয়ায় মিলনের শরীর তল্লাশি করলে উপস্থিত সাংবাদিক ও জনগনের সামনে মিলনের হাতের মধ্য থেকে ৪পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন। এসময় ঘটনা জানাযানি হলে,উত্তেজিত জনতা ভিড় জমায়,পরে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মিলনকে আটক করে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে যান। আসামি মো:মিলন মোল্যা নড়াইল সদর থানার জেল হাজত থেকে সাংবাদিকদের জানান,দোকানদার পারভেজকে আমি চিনি না,পারভেজকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে আমাকে বলেছে ময়েনখোলা গ্রামের আরোব আলী ও তার স্ত্রী হিরা বেগম এবং একই গ্রামে তার আত্মীয় হবিবার রহমান হবি শেখ,আমাকে বলে পারভেজের দোকানের পাশে ইয়াবা রেখেছি তুই পারভেজের দোকানে ইয়াবা রেখে পুলিশে ধরিয়ে দে,এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই,পুলিশ আমার কাছে থাকা ৪পিচ ইয়াবাসহ আমাকে আটক করে এবং তাদের অফিসে এনে ১০পিচ ইয়াবা দিয়ে আমাকে চালান দেয়। আসামি মিলনকে দিয়ে যারা এ জঘন্য কাজ করিয়েছে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যে সকল কথাবার্তা হয়েছে তার কলরেকোর্ডিং সাংবাদিকদে হাতে এসেছে। এদিকে,গ্রাম্য কোন্দলকে কেন্দ্রর করে রাগের মাথায় পারভেজকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেষ্টা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় শিকার করেন,অভিযুক্ত ময়েনখোলা গ্রামের হবিবার রহমান হবি শেখ এর স্ত্রী। ময়েনখোলা গ্রামে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি কাউকে বাড়িতে পাওয়া জায়নি,এজন্য তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। জানা যায়,পারভেজদের সাথে হবিবার রহমান হবি,আরোব আলী ও তার স্ত্রী হিরা বেগম এর সাথে তর্ক করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে,এরই জের ধরে তাদের আত্মী মিলনকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটাতে চেষ্টা করেছে তারা। এদিকে,মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাব ইন্সেপেক্টর শাহারিয়ার জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘোড়াখালী ঘাটে পারভেজ নামের এক ব্যক্তির দোকানে অভিযান চলাকালে আসামি মিলন এর গতিবিধি সন্দেহ হলে পারভেজের দোকানে ঢোকার সময় মিলনের শরীর তল্লাশি করে ১০পিচ ইয়াবাসহ মিলনকে আটক করি এবং নড়াইল সদর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করি,যার নড়াইল সদর থানার মামলা নং-১৬। আসামি মিলন সাংবাদিকদের জানান,সীমাখালী গ্রামের আকো এর ছেলে সাগর আমাকে ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে এবং এ ঘটনা ঘটার পরে আমার বাড়িতে খবর দেয়। আসামি মিলন আরো জানায়,সাগর ফোন করে আমার স্ত্রীকে বলে তোমার স্বামী মিলনকে পুলিশে ধরে বেধড়ক মারধোর করছে,এ খবর শুনে দ্রুত ঘটনা স্থল ঘোড়াখালী ঘাটে আমার স্ত্রী এসে দেখে,মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যগণ আমাকে ৪পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে কিন্তু মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অফিসে আমাকে এনে ১০পিচ ইয়াবা দিয়ে আমাকে চালান দেই,এসময় আমি তাদের কাছে বলি আমার কাছে ৪পিচ ইয়াবা পেয়েছেন,তাহলে কেন ১০পিচ ইয়াবা দিয়ে চালান দিচ্ছেন,উত্তরে তারা বলেন,১০পিচের নিচে মামলা হয় না বলেও তারা আমাকে জানান। ঘোড়াখালী ঘাটে ঘটনার সময় উপস্থীত একাধীক স্থানীয়’রা সাংবাদিকদের জানান,পরের কথায় মিলন ৪পিচ ইয়াবা দিয়ে পারভেজকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই আমাদের সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের হাতে ৪পিচ ইয়াবাসহ আটক হয়েছে,আমাদের সামনে মিলনের কাছে ৪পিচ ইয়াবা পেয়েছে কিন্তু ১০পিচ ইয়াবা মিলনের কাছে পাইনি বলেও জানান কিন্তু মিলন পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দিয়েছে বলেও জানা যায়।