মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রার্থী হতে হলে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.মিলিনা খানমকে টাকা দিতে হবে,এমন একটি কলরেকোডিং সোশালমিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগে’র সম্মেলনে কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগে’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাছুড়া বেগম ও তার স্বামী ইকবাল হাসান অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন,একটি দল একটি দেশকে উন্নত করে,আর সেই দলের মধ্যে কতিপয় কিছু অজগ্য নেত্রী’র কারনে আজ সংগঠনটি বিতর্কিত। নড়াইল জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.মিলিনা খানম,আমার কাছে এবং আমার স্ত্রীর কাছে কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিতে হলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে,টাকা না দিলে দলের সদস্য পদও দিবে না বলে জানান। এসময় আমার স্ত্রী,মিলিনা খানমকে টাকা দিতে না চাইলে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন,মিলিনা খানম। পরে টাকা’র বিনিময়ে পদ বিক্রি’র মিলিনা খানমের সাথে কিছু কথাবার্তা’র রেকোডিং করে রাখি বলেও জানান। নড়াইল জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড,মিলিনা খানম টাকা চাওয়ার অভিযোগ অশিকার করে জানান,আমার বাড়ি কালিয়া হওয়ায় আমার সাথে ইকবাল হাসান ও তার স্ত্রী কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাছুড়া বেগম এর সাথে ভালো সম্পর্ক এবং পরিচিত। আমি তাদের বলেছি আগামি (১৭ নভেম্বর) কালিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে অনেক টাকা খরচ হবে এবং কেন্দ্রীয় নেতাগণ আসবে,সাথে ৫শ থেকে ১ হাজার লোকের সমগম হবে এবং সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এজন্য তাকে খরচের জন্য বলেছি। কিন্তু তারা অডিও রেকোর্ড দারা ভাইরাল করে আমার সন্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছি এবং আমি একজন এডভোকেট,কেন আমি সামান্য ১০-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে পদপদবি বিক্রি করবো,আমার সন্মান নষ্ট করার জন্য এসব প্রচার করছে বলেও জানান। নড়াইল জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রিক্তা জানান,কালিয়া ও নড়াগাতী এই দুইটি উপজেলা’র কমিটি গঠনের জন্য এ্যাড.মিলিনা খানমকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার বিনিময়ে পদপদবি বিক্রি করবে এটা চরম অন্নায়,এ বিষয়টি আমি শুনেছি এবং কেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়েছি। এ পদপদবি বিক্রি’র বিষয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী-লীগ এর নেত্রীবৃন্দ অবগত রয়েছেন। আওয়ামী-লীগের একাধীক নেতা কর্মি বলেন,অজগ্য লোকদারা কোন দিন সংগঠন চলতে পারে না,এঘটনায় দলের সন্মান খূন্য হচ্ছে,বিষটি এখনি সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলেও জানান।
