নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ৪ বছর পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচন ও আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে নিজ পক্ষের লোকজনকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাউন্টার হত্যা মামলার ৪ বছর পর রহস্য উম্মোচন ও আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী আওয়াল মিয়া (৩৩) কে গত ৫ ডিসেম্বর, গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার মধ্য দিয়ে ৪ জন আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
নাসিরনগর থানাথীন রামপুর গ্রামে বল্টু মেম্বার ও মেরাজ মিয়া গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিরাজমান ছিল।
এই প্রেক্ষিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনার র্পূবরে দনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোয়ালনগর নোয়াগাঁও সরকারী প্রাথমকি বদ্যিালয়রে ভোট কন্দ্রেে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ববিাদ হয়। উক্ত ঝগড়া ববিাদরে একপক্ষরে নেতৃত্ব দয়ে বল্টু মেম্বার এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় মুছা ময়িা।
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে উভয়পক্ষের কতিপয় সদস্যের মধ্যে প্রথমে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে উভয় গ্রুপের সদস্যরা যার যার বাড়ি গিয়ে লোকজন সংগ্রহ করে এবং দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ; যার ফলশ্রুতিতে রামপুর গ্রামে ব্যাপক গোলযোগ ও দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিিিস্থতি সৃষ্টি হয়।
উক্ত দাঙ্গা হাঙ্গামার প্রেক্ষিতে কোন গ্রুপই অপর গ্রুপকে কাবু করতে পারছিল না বিধায় প্রথমে বল্টু মেম্বার গ্রুপের নেতৃত্বে সদস্যরা এক মধ্যযুগীয় পরিকল্পনা করে। আর এ পরিকল্পনা ছিল নিজের গ্রুপের লোককে হত্যা করে প্রতিপক্ষ মুছা মিয়া গ্রুপকে ফাঁসিয়ে দেয়া। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা টার্গেট হিসেবে বেছে নেয় নিজ গ্রুপেরই ৬৫ বছর বয়স্ক বরজু মিয়াকে।
তাদের যুক্তি ছিল বরজু মিয়া বয়স্ক হয়ে গেছে এবং পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার বৈষয়িক কার্যকারিতা নেই। উপরন্তু তাকে হত্যা করে যদি প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো যায় তাহলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার সহজ হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বরজু মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ মুছা মিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে নাসরিনগর থানায় গত ৭ জানুয়ারী ২০১৯ সালে হত্যা মামলা দায়ের করে।
বিপরীতক্রমে মুছা মিয়া গ্রুপের সদস্যরা যখন দেখে বল্টু মিয়া গ্রুপের সদস্যরা দলবলসহ বরজু হত্যার প্রতিশোধের অজুহাতে তাদের ঘর বাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে তখন উপায়ান্তর না দেখে তারাও আত্মঘাতীমূলক সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুছার নির্দেশে স্বামী পরিত্যক্তা তার আপন বোন রফিজাকে তার দলের লোকজন হত্যা করে। পরবর্তীতে তারাও বল্টু মেম্বার গ্রুপের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় গত ৭ জানুয়ারী ২০ ১৯ তারিখ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পূর্বে পিবিআই কর্তৃক গ্রেফতার কৃত আসামী খোরশেদ আলম, আক্কাস মিয়া ও পরশ মিয়াগন ভিকটিম বরজু মিয়া ও রফিজা বেগকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় তাদের প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে ০৬(০১)২০১৯ ইং মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী আওয়াল মিয়া (৩৩) কে গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলা ২টি পিবিআই ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় তদন্তাধীন আছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।