ভারতে রপ্তানি বাড়ছেই বাংলাদেশের

Uncategorized আন্তর্জাতিক


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক ঃ চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ভারতে প্রায় ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভারতে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য, আগস্টে ২২ কোটি ২৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ

এই পাঁচ মাসে ভারতে ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৩১ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে পণ্য রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। যদিও সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।২০১১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামিদামি বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

ভারতে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। ভৌগোলিক কারণেই ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই কাছাকাছি উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে।

প্রায় দেড় শ কোটি লোকের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতেই হবে। ভারতে পোশাক তৈরি করতে যে খরচ হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে তার থেকে অনেক কম পড়ে। সে কারণে সব হিসাব-নিকাশ করেই তারা এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি করে পোশাক কিনছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *