কোমল পানীয় পরিবহনের আড়ালে ৩৪ কেজি গাঁজা পাচারকালে ১ টি কাভার্ড ভ্যান সহ ২ জন গ্রেফতার

Uncategorized আইন ও আদালত


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ​মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

​এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর পরিদর্শক, তমিজ উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে রমনা সার্কেলের সকল স্টাফের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গতকাল শনিবার ২৪ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার উত্তর পাশের ঢালে‘‘ট্রাক কন্টেইনার ও কম্পোক্টর হেলপারদের কেন্দ্রীয় হাজিরা ঘর ভবনের ’’ সামনে রাসত্মা হতে ৩৪ (চৌত্রিশ) কেজি গাঁজা ও ১ (এক)টি কাভার্ডভ্যানসহ ২(দুই) জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় যথাক্রমে, মো: মঞ্জুর আলম (৩০), পিতা: মো: আবু তালেব মোল্লা, থানা: মাগুরা সদর, জেলা: মাগুরা। পেশাঃ গাড়ীচালক এবং তরিকুল ইসলাম রাজন (২৯), পিতা:আসাদ উল্লা, থানা: জলঢাকা, জেলা: নীলফামারী। পেশাঃ গাড়ীর হেলপার।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য ছিল যে, মাদক ব্যাবসায়ীদের ওই চক্রটি বিভিন্ন কোম্পানীর কোমল পানীয় পরিবহনের আড়ালে হবিগঞ্জ ও সিলেট হতে গাঁজার বড় চালান সংগ্রহ করে ঢাকা, গাজীপুর ও সাভার-এর ডিলারদের কাছে পাইকারী দরে বিক্রি করতো। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানতে পারে যে উল্লেখিত চক্রটি গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে, এই তথ্যের ভিত্তিত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাদক ব্যাবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার উত্তর পাশের ঢালে ‘‘ট্রাক কন্টেইনার ও কম্পোক্টর হেলপারদের কেন্দ্রীয় হাজিরা ঘর ভবনের ’’ সামনে রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং যশোর-ট-১১-৩৪৪৪ নম্বরের কাভার্ডভ্যানটি ঘটনাস্থলে পৌছালে গতি রোধ করে এবং ১ আসামী মঞ্জুর ও ২ নং আসামী রাজন’কে ৩৪ (চৌত্রিশ) কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায় তারা হবিগঞ্জ হতে উক্ত গাঁজার চালানটি সংগ্রহ করে ঢাকায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছিল। চক্রটি নিজেদের আড়াল করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে গাঁজার বড় চালান পরিবহন করতো বলে জানিয়েছে।

এর পূর্বেও তারা গাঁজার একাধিক চালান সরবরাহ করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এই চক্রের একাধিক সদস্যের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। সে সব তথ্য বিশেস্নষণপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ​গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান আজকের দেশ ডটকম কে জানান, ​মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর, ভবিষ্যতে ও এধরণের অভিযান পরিচালনা করা হবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *