!! অভিযান পরিচালনা কালে ৪৫০০ কেজি গুড়, ৭৬০০ লিটার সিরাপ, ৭ কেজি হাইড্রোজ, ২০ কেজি ফিটকিরি, চুন- ৩০ কেজি এবং টেক্সটাইল রং- ৩ লিটার ধ্বংস করা হয়েছে এবং কোন প্রকার সমস্যা না থাকায় ১০০ বস্তা চিনি (৫০০০ কেজি) বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর অর্পিত ক্ষমতাবলে, জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলা কার্যালয় কর্তৃক রবিবার ২৫ ডিসেম্বর, নাটোর জেলার লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮ টা হতে পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর এলাকার সাগর গুড় ভান্ডারকে (স্বত্বাধিকারীঃ মো: সাগর হোসেন) ৪২ ধারায় খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণের অপরাধে করার অপরাধে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, লালপুর উপজেলার মোহরকয়া এলাকায় অবস্থিত মহাসিন গুড় ভান্ডারকে (স্বত্বাধিকারী: মহাসিন) ৪২ ধারায় খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণের অপরাধে অপরাধে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার), এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর বাজার এলাকায় অবস্থিত সেলিম গুড় ভান্ডারকে (স্বত্বাধিকারী: আনোয়ার) ৪২ ধারায় খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণের অপরাধে অপরাধে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার), এব টাকা সহ সর্বমোট ১,৯০,০০০ (এক লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। এরপাশাপাশি সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
নাটোর জেলার র্যাব -৫ এর সিপিসি-২ এর একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন।
বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা কালে ৪৫০০ কেজি গুড়, ৭৬০০ লিটার সিরাপ, ৭ কেজি হাইড্রোজ, ২০ কেজি ফিটকিরি, চুন- ৩০ কেজি এবং টেক্সটাইল রং- ৩ লিটার ধ্বংস করা হয়। কোন প্রকার সমস্যা না থাকায় ১০০ বস্তা চিনি (৫০০০ কেজি) বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর আজকের দেশ ডটকম কে জানান,জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।