চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের বিকল্প নেই- তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized জাতীয়


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম শহরের লোক সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী পাঁচ-দশ বছর পরে এই শহরের লোকসংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই শহর ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সুতরাং এখানে মেট্রোরেলের কোন বিকল্প নেই।

গতকাল মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী একথা বলেন। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি শুভদিন, আনন্দের দিন। কারণ চট্টগ্রামে মেট্টোরেল হবে চট্টগ্রামের মানুষও অনেকে ভাবেনি, এটি আমার জন্যও আনন্দের দিন। বেশ কয়েকবছর ধরে চট্টগ্রামে মেট্টোরেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে বহুবার নিবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে কোরিয়ান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হতে যাচ্ছে।’

চট্টগ্রামকে নান্দনিক শহর উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নকে যে কি পরিমাণ গুরুত্ব দেন, সেটি একটি প্রজেক্টের কথা আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটা প্রজেক্ট মিলিয়ে ব্যয় ১.২ মিলিয়ন ডলার তিনি দিয়েছেন। সেই কাজগুলো চলছে, তিনটা প্রজেক্টের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয়, আমি আশা করি আগামী বছর থেকে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবেনা।

তিনি বলেন, অনেকগুলো পাহাড় কাটা হয়েছে, পাহাড় কাটার কারণে নান্দনিকতা নষ্ট হয়েছে, পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরকে আরো নান্দনিক করার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রজেক্টটি অত্যন্ত সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝাং কিউন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব শরিফা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন ও কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং আহ দোহ।

অনুষ্ঠানে জানানো।হয়, কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোইকা এই সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। ৭০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত এই স্টাডিতেই চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার উপযোগিতা, মেট্রোরেলের রুটসহ নানা বিষয় উঠে আসবে। একই সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কত অর্থের প্রয়োজন তারও হিসাব দেবে কোইকো।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *