মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ নড়াইলের মুরগী সিন্টিকেটের মুল হোতা বাটুল মজুমদারের খুটির যোঁর কোথায়? এমন প্রশ্ন উঠেছে ভুক্তভোগী মুরগী ক্রেতা সাধারণের মাঝে। স্থানীয় রুপগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে মুরগীর দোকান গুলি বাটুল মজুদারের হওয়ায় সিন্টিকেটের মাধ্যমে ক্রেতাসাধারণ কে ঠকিয়ে বেশি দামে মুরগী বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে মুরগী সিন্ডিকেটের মুল হোতা অসাধু ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার।
ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করলে ও ক্ষতির মুখে পড়েন ছোট ছোট খুচরা মুরগী ব্যবসায়ীরা
ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে সিন্টিকেটের মূল হোতা’রা।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি,বাটুল মজুমদার একা কিভাবে বাজারের দোকান গুলি পেল,বাজার তো পৌর-সভার তাহলে নড়াইল পৌর-সভা কি করে,তাদের পদক্ষেপ কি বাটুল মজুমদার কিভাবে একা মুরগী বাজারের মালিক হয়,এ কারনেই সিন্টিকেটের মাধ্যমে টার্মিনাল বাজার থেকে রুপগঞ্জ বাজারে মুরগীর দান সব সময় বেশি থাকে,পৌর-সভা ও জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখলে,
বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল,বন্ধ হবে সিন্টিকেট বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ী ও কৃতাদের।
এদিকে,নড়াইলে ভোক্তা অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে,রক্ত চুষে খাচ্ছে অসাধু পাইকাড়ি মুরগী ব্যবসায়ী,বাটুল মজুমদার। পুরাতন বাস টার্মিনালে বয়লার মুরগী ১৯০ টাকা কেজি ও সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করছে ব্যবসায়ী’রা কিন্তু একই বয়লার মুরগী ২২০ টাকা ও সোনালী মুরগী ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছে রুপগঞ্জ বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী’রা। এসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিকে খুচরা ব্যবসায়ী’রা জানান, তাদের পাইকাড়ি মহাজন বাটুল মজুমদার তারা মুরগী কিনতে গেলে মুরগী’র দাম বেশি ধরলে তারা কি করবো, এমন অভিযোগ পেয়ে পাইকাড়ি মহাজন বাটুল মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক একই শহরে দুই বাজারে দুই দামে বিক্রি হচ্ছে। আপনি কেন মুরগীর দাম বেশি ধরছেন জানালে,সাথে সাথে বয়লার মুরগী ২০০ টাকা এবং সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা বিক্রি করার কথা জানান, দোকানীদের। কিন্তু কিছু সময় পরে খুচরা ব্যবসায়ীদের,পাইকাড়ি ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার বলেন, কাল থেকে আমার দোকান ছেড়ে দিয়ে ভোক্তা’র অফিসারের কাছ থেকে মুরগী নিয়ে ব্যবসা করবি বলেও খুচরা মুরগী ব্যবসায়ীদের জানায় প্রতারক অসাধু ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার।
এদিকে,নড়াইলে পাইকাড়ি মুরগী বাজার বৃদ্ধির অজুহাত দিখেয়ে কৃতাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে অসাধু পাইকাড়ি মরগী ব্যবসায়ী’রা,বেপাকে খুচরা মুরগী ব্যবসায়ীগণ,নিরব ভুমিকায় প্রশাসন। নড়াইল শহরের রুপগঞ্জ বাজারে দির্ঘ দিন ধরে পুরাতন বাস টার্মিনাল বাজার থেকে প্রতি কেজি মুরগীতে কম পক্ষে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হয় রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে। অনুষন্ধানে জানা য়ায়,হাতে গোনা কয়এক জন পাইকাড়ি মুরগী’র ব্যবসা করে। এর মধ্যে কেউ কেউ নিয়ম অনুযায়ী মুরগী ব্যবসা পরিচালনা করলেও কেউ কেউ গরিব অসহায় জনসাধারণের রক্ত চুষে খাচ্ছে দির্ঘ দিন ধরে। অনুষন্ধানে আরো জানা যায়,নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনালে মুর্গীর বাজার সারা বছর রুপগঞ্জ বাজার থেকে অনেকটাই মুরগীর দাম কম থাকে,তবে রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে কেন টার্মিনাল বাজার থেকে মুরগী’র দাম বেশি থাকে এমটাই প্রশ্ন নড়াইল বাসির। রুপগঞ্জ মুরগী বাজারের ব্যবসায়ী’রা নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধীক খুচরা মুরগী ব্যবসায়ী ক্ষোব প্রকাশ করে জানান,আমরা বাইরে থেকে মুরগী আনতেপারি না,আমাদের ঘর মালিক আমাদের যে দামে মুরগী পাইকাড়ি ধরবেন এবং যে দামে মুরগী খুচরা বিক্রি করতে বলবেন,আমরা সেই দামে মুরগী বিক্রি করতে ব্যদ্ধ্য। আমাদের ঘর মালিকের কাছ থেকে মুরগী না নিলে তার ঘর থেকে নেমে যেতে হবে এ কারনেই আমরা কিছু বলতে পারি না। রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে সব দোকান গুলি পাইকাড়ি ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদারের। আমরা এ সিন্টিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই দোকান থেকে নেমে যেতে হবে এবং তার কথা মত দোকান চালানোর মত অনেক ব্যবসায়ী দোকানদার হাজির হয়ে যাবে,এজন্যই দোকান হারানোর ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনা,আমরা কাঠের পুতুলের মত তাদের কথামত ব্যবসা করে দিন শেষে তাদের টাকা পয়সা দিয়ে ডাল ভাত খাওয়ার মত কিছু নিয়ে বাড়ি চলে যায়,প্রতিবাদ করলে সেটাও হারাতে হবে বলেও জানান। খোজঁ নিয়ে আরো জানা যায়,দির্ঘদিন ধরে রুপগঞ্জ মুরগী বাজার সিন্টিকেটের মাধ্যমে মুরগী বিক্রি করে আসছে তবে চোঁখে পড়ছে না প্রশাসনের। পুরাতন বাস টার্মিনালে মুরগী কম দামে বিক্রি করলেও সেই একই মুরগী রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে সিন্টিকেটের মাধ্যমে,দেখার কেউ নেই বলে দাবি নড়াইল বাসির।