পিংকি জাহানারা : খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের মডেল শপিং কমপ্লেক্স এর ৩০টি দোকান ইনিস্টিটিউট কর্তৃক ০১(এক) বছর যাবত জোর পূর্বক বন্ধ করে দোকান মালিকদের উপর অমানুষিক নির্যাতন, জুলুমের অভিযোগ উঠেছে খালিশপুরের ভূমিদস্যু নামে খ্যাত এক শীর্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ আজ বেলা ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষে মোঃ শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান,, এই শপিং
কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের ৩০টি দোকান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা দোকানগুলো ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।গত ২০১৯ সালের ২রা জুলাই বিজেএমসি সব জুট মিল গুলো বন্ধ করে দেয়। এরপর পাটকল শ্রমিক সংগঠন দ্বারা পরিচালিত খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর কতিপয় ব্যক্তি এসে দোকান ঘরের জামানত ও ভাড়া অতিরিক্ত দাবী করে। এর কয়েক ঘন্টা পর একই বিলুপ্ত সংগঠনের কতিপয় অসৎ নেতা এসে অবৈধভাবে টাকা দাবী করে এবং বিরক্ত করতে থাকে। এরপর বাধ্য হয়ে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করি। উল্লেখ্য অত্র মার্কেট সংলগ্ন জায়গাটি খুলনা জেলা প্রশাসকের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি হিসেবে ১৯৬২ সালের রেকর্ড করা আছে। অত্র সংগঠনের নামে মার্কেটের জমি বরাদ্দ বা মালিকানা দেওয়া হয়নি। তারপরও শান্তিতে ব্যবসা করার স্বার্থে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এর নিকট যান এবং বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করেও কোন সমস্যা সমাধান পান নি বলে জানান মোঃ শফিকুল ইসলাম পলাশ।
তিনি আরো জানান,,অবশেষে গত ২০২১ সালের ৯ জুন খুলনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি, যাহার মিস কেস নং-৩০/২০২১ । ঐ মামলায় শুনানী শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের ভাড়ার টাকা প্রতি মাসে খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের নামে আদালতে জমা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ২০ এপ্রিল ২০২২ সালের ১৮ই রমজানে জোর পূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয়, কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পর আদালত মানবিক কারনে গত ৩০ মার্চ, দোকান খুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে এবং
একই সাথে ১-৪নং প্রতিপক্ষকে কেন অর্থদন্ড করা হবে না তার কারন দর্শানো হয়। আদালতে আদেশ প্রাপ্ত
হয়ে তারা যখন দোকান খোলার চেষ্টা করি তখন খালিশপুরের ভূমিদস্যু নামে খ্যাত এক
শীর্ষ নেতার নির্দেশে খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউট এর নেতৃবৃন্দ দোকান খুলতে বাধা প্রদান করে এবং
আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এই জনমেও আর দোকান খুলতে দেয়া হবে না বলে হুমকি
(চলমান পাতা-০২) (পাতা নং-০২)
প্রদান করে। তারা নিরুপায় হয়ে তাদের নিরাপত্তা এবং দোকান খোলার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে লিখিত
আকারে জানাতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে এবং স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয় না বললে কোন
প্রকার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন সহ বিভিন্ন জায়গা
থেকে ন্যায় বিচার না পেয়ে ন্যায় বিচারের দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন মোঃ শফিকুল ইসলাম পলাশ।
Post Views: 236