নির্বাচনে যাবে না বিএনপি অথচ পাঁচ সিটিতেই তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী

Uncategorized অন্যান্য



আজকের দেশ ডেস্ক ঃ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি এখন রাজপথে আন্দোলন করছে। দলটি বর্তমান ইসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির সংলাপ, ইসি নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটিতে নাম না দেওয়াসহ অনেক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি। চলমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএনপিকে আলোচনার জন্য চিঠি দিলেও দলটি তাতে সাড়া দেয়নি। এই ইসির অধীনে স্থানীয় বা কোনো সংসদ উপ-নির্বাচনেও অংশ নেয়নি বিএনপি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ আগেই নিয়েছে বিএনপি।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি যখন রাজপথের কর্মসূচিতে ঠিক সেসময় পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যেন ভোটে অংশ না নেয় এটিই এখন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পাঁচ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির প্রার্থীরা।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ‘আভাস’ দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের বলেছেন, মোটা অংকের টাকা দিয়ে তারেক রহমানকে ম্যানেজ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই দলের সিগন্যাল পরিষ্কার করবেন। জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত তিনি দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র ভোট করবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিগত খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। দলের পদে না থাকলেও তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া যায় না। তিনিও ভোট করতে চান।

বরিশালে বিএনপি দলীয় সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন মেয়রপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গাজীপুরে প্রার্থী হবেন দলীয় নেতা নূরুল ইসলামের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম। এছাড়া রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর রাজশাহীতে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমরা দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি দল সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা রিভিউ করবে। প্রয়োজনে নির্বাহী কমিটির মিটিং থেকে দলের সর্বস্তরের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত রিভিউ করা উচিত। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।

এদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার। আমরা মনে করছি না কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে যাবে। যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে দল।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *