স্কয়ান লিডার সাদরুল আহমেদ খান : ইউরোপীয় পালামেন্টের ছয় সদস্যর চিঠি নিয়ে অনেকে ১২ জুনের এই চিঠি আমাকে ইনবক্সে পাঠাচ্ছেন, অনেকে নিজ পোস্টে আমাকে ট্যাগ করেছেন। আপনাদের মতো বাংলাদেশ নিয়ে উৎকন্ঠা আমারও প্রবল।
দেখা যায়, হাইরিপ্রেজেনটেটিভ মি: বরেলের কাছে চিঠিতে আবেদনকারী ছয় জন ইউরোপীয় পালামেন্টের মেম্বার যথাক্রমে স্লাভাক, চেক, বুল্গেরিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন এবং ফিনল্যান্ড এর এমইপি।
হাইরিপ্রেজেনটেটিভ পদটি ইউরোপীয় পালামেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সমমান, এটি বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক ইইউ পালামেন্টের উচ্চ প্রতিনিধি দল। এটি অন্যতম দায়িত্ব: সাধারণ নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা নীতি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির সামগ্রিক পরিচালনা।এই পদে এখন দায়িত্ব পালন করছেন, স্পেনের জোসেপ বরেল।
এবার আসুন মূল প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ অন্যায় অবশ্যই তার বিচার হবে, আমরা সেটাই চাই কিন্তু ইউরোপীয় পালামেন্টের এই চিঠি সসম্পূর্ণ ফরমায়েশি। প্রথম সাক্ষরকারী স্লোভাকিয়ান এমইপি ইভান স্টিফেনাক ইতিপূর্বে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের র্যাব ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে স্যাংশন আরোপ করতে হাইরিপ্রেজেনটেটিভ বরাবর চিঠি লিখেছিলেন।
জবাবে, ১৮ মার্চ ২০২২ হাইরিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং তারা প্রতিনিয়ত মানবাধিকার ও অন্যান্য ইস্যুতে ডায়লগ করছেন। র্যাবের উপর স্যাংশন নিয়ে কিছু না লিখলেও হাইরিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশের সামাজিক খাতে উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। এখানেই চিঠির ইতি ঘটেছিল।
ইভান স্টিফেনের জানুয়ারি ২০২২ সালের চিঠি আর গত কালের চিঠির টেক্সট একই শুধু সাক্ষর বেড়েছে ৫টি। তাই, আশা করা যাচ্ছে হাইরিপ্রেজেনটেটিভ এর জবাবটাও আগের মতোই আসবে। আবশ্য অপেক্ষায় থাকতে হবে কিছু দিন। কাজেই, এই চিঠি নিয়ে অতি আনন্দিত বা হতাশার কিছু নাই। তবে হ্যা কারো কারো জন্য স্বান্তনা পুরস্কার।