!! সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিক নেতাদের ফেসবুকে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে তাদেরই সর্বাগ্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গত, ২ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হত্যাকাণ্ড জামালপুরের বাংলা নিউজ ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি “গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যার বিচার চাই” এ দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের অধিকাংশ সাংবাদিকদের ফেসবুক আইডি সয়লাব। কিন্তু, একটি বিষয়ে আমাদের সবাইকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ ও অণুবীক্ষণ করে উপলব্ধি করা উচিত যে, অতীতে বাংলাদেশে যে সকল সাংবাদিকদেরকে হত্যা করা হয়েছে।সে সকল হত্যাকারীদের সঠিক বিচার হলে, আজকে একজন প্রতিভাবান সাংবাদিক নাদিমকে হত্যাকারীরা হত্যা করতে পারতেন না।
এখন অনেক সাংবাদিক তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও এই হত্যার বিচার চাই বলে দাবি এবং প্রচন্ড উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন। এ মুহূর্তে একটু নিবিড় পর্যবেক্ষণ করলে অনুধাবন করতে পারবেন যে, আদতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আদৌ হবে কিনা! কেননা, অতীতের অভিজ্ঞতায় এ অনুমান অমূলক নয়। তাছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য, বিভাজন, বৈষম্য, রেষারেষি, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, হিংসা-বিদ্বেষ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ইত্যাদি তো রয়েছেই। ছবিটি সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে সবাই একটু অনুমান করুন তো।
একবার আপনারা নিহত সাংবাদিক নাদিমের সন্তানের কথা ভাবুন তো, সে কাকে বাবা বলে ডাকবে। তার অজস্র নিস্পাপ অশ্রুর মূল্য কি আপনারা দিতে পারবেন? তার স্ত্রীর কথাই ভাবুন না, ভালবাসার চাহনিতে তিনি তার প্রিয়তম স্বামীর দিকে অপলক দৃষ্টি দিতে পারবেন? আপনারা তার ভাই-বোনের কথা ভাবুন তো, কাকে তারা ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকবেন। এরপর তার বাবা-মা’র কথাই ভাবুন, “খোকা তুই ভাত খেয়েছিস” বলে এই আহ্বান টুকু তারা কাকে করবেন? শুধুমাত্র আমাদের ও সাংবাদিক নেতাদের এসব বিষয়ে ফেসবুকে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে তাদেরই এ বিষয়ে সর্বাগ্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন প্রতিরোধে রাষ্ট্রর সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারকদের সাথে এ বিষয়ে সময়পোযোগী দাবি উত্থাপন করে কঠোর আইনি পদক্ষেপের আহ্বান করতে হবে। এমনকি, দাবি পূরণের জন্য ব্যবস্থা করতেই হবে। যেকোনো হত্যাকাণ্ডকেই কোন সভ্য জগৎ মেনে নিতে পারেন না।