!!  বুক রিভিউ !!  হাসিনা আনসারের লেখা “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি”

Uncategorized জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ সাহিত্য

হাসিনা আনসার এর লেখা “বাংলাদেশের রান্না ১০০ রেসিপি “বই


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  হাসিনা আনসার তিনি লিখেছেন “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি” বই। তার ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি নিজের বুক রিভিউ করতে গিয়ে লিখেছেন “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি” বই।

তিনি লিখেছেন,  এই চারখণ্ড বই সবার কাছে হয়তো রান্নার বই মনে হবে কিন্তু আমার কাছে আমার সন্তানের মত প্রিয়। নিজের সন্তানকে যেমন মানুষ ছোট থেকে বড় পর্যন্ত লালন পালন করে তোলে, আমার এই চার খন্ড রান্নার বই করতে আমারও ঠিক তেমনি পরিশ্রম হয়েছে। তাই আমার এই বইগুলি আমার সন্তান। আর যারা এই বইতে রেসিপি দিয়ে এই বইটি করার পেছনে বড় অবদান রেখেছেন তারা প্রত্যেকেই আমার সন্তানের মতই।

প্রকাশনা ফ্রিকোয়েন্সীতে হাসিনা আনসার।

তিনি আরও লিখেছেন,  একটা বই করতে অনেক পরিশ্রম লাগে আপনারা সবাই জানেন। একদিনে একটা বই হয় না। যেখানে ৪০০ রন্ধনশিল্পীর ৪০০ রেসিপি নিয়ে বইগুলো করা, কতটা সময় দিতে হয়েছে আপনারাই চিন্তা করুন, কতটুকু পরিশ্রম আমাকে দিতে হয়েছে, কতটা মেধা দিতে হয়েছে আমাকে, কত কাজ থাকে একটা বইতে রেসিপি সংগ্রহ থেকে শুরু করে এডিট পর্যন্ত এবং প্রকাশনা থেকে বইটি বের হওয়া পর্যন্ত। শত শত কাজ, কতবার প্রকাশকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়, ৪০০ রেসিপি এডিট করা সময়ের ব্যাপার এত সহজ না।

তিনি লিখেছেন, আমি আমার ৪০০ রন্ধনশিল্পীকে কখনোই কোন প্যারা দেইনি এই বইয়ের পেছনে কাজ করার জন্য। সমস্ত কাজ নিজ হাতে করেছি। প্রতিটি রন্ধনশিল্পীকে আমি কোন না কোন ভাবে প্রমোট করার চেষ্টা করেছি এবং অনেকে উপকৃত হয়েছেন, এটা প্রিন্ট মিডিয়ায় বলেন আর ইলেকট্রিক মিডিয়া বলেন প্রমোট আমি করেছি। প্রতিটি প্রকাশনা উৎসবে তাদের হাতে বই তুলে দিয়েছি। আমার বইতে বেশিরভাগ রেসিপি দাতা ঢাকার বাইরে থাকেন প্রতিটা খন্ডে তাদেরকে তিনটি অথবা চারটি বই আমি কুরিয়ার করে দিয়েছি একটু চিন্তা করে দেখুন এটা কতটা সময়ের ব্যাপার কতটা ধৈর্যের ব্যাপার। সবকিছু আমি নিজ হাতে করেছি নিজ দায়িত্বে।

আমার কাছে এই কষ্টগুলো কখনোই কষ্ট মনে হয়নি কারণ আমি দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছি আমি নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করছি আমি আমার দেশের আঞ্চলিক রেসিপি কে প্রমোট করার চেষ্টা করছি বিশ্বের দরবারে। ইনশাল্লাহ আমাদের চেষ্টা একদিন সফল হবে আমাদের এই বই ১০ খন্ড পর্যন্ত যাবে যেন বাংলাদেশের বা বাংলাদেশের বাইরে যে কোন দেশ থেকে যদি আমাদের দেশের রেসিপি সম্পর্কে কেউ জানতে চাই বা বুঝতে চাই বা গবেষণা করে তারা যেন আমাদের এই রেসিপির বইকেই খুঁজে বের করে।

তিনি বুক রিভিউতে লিখছেন, আমরা যদি সবাই একটু বড় মনের পরিচয় দিই সবাই যদি এই বইতে রেসিপি দিয়ে আমাদের দেশের আঞ্চলিক রেসিপিগুলিকে এভাবে নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে যায় তাহলে এটা আমাদের দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা হবে এবং যুগ যুগ ধরে এর ছোয়াব আমরা পেতে থাকবো। আমরা একসময় থাকবো না কিন্তু আমাদের এই কাজগুলো কথা বলবে।

আমার আব্বু বলতেন- জীবনে এমন কিছু ক্রিয়েটিভ কাজ করে যাওয়া উচিত যেন আমি বেঁচে না থাকলেও আমার কাজগুলো কথা বলে।

আপনারা যারা রেসিপি দিয়ে এই বইকে সমৃদ্ধ করেছেন তারা আজীবন এই বই এর মাঝে বেঁচে থাকবেন নতুন প্রজন্মের কাছে। হয়তো আমার এই কথাটি এখন আপনাদের এত গুরুত্বপূর্ণ মনে হবেনা কিন্তু একসময় এই কথাটাই সবচেয়ে দামি হয়ে যাবে।সবাই খুব বেশি ভালো থাকবে সব সময়। এভাবে পাশে থাকবেন।

( ধন্যবাদ।হাসিনা আনছার, সম্পাদক-“বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি”)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *