নিজস্ব প্রতিনিধি (খাগড়াছড়ি) : খাগড়াছড়িতে বালুর টেন্ডার জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে এনসিপি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি ডিসি অফিসের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

পরে গতকাল ২৬ এপ্রিল, শনিবার ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত করে জাতীয় নাগরিক পার্টির খাগড়াছড়ি সদস্য, ভুক্তভোগী কিশোর কুমার ত্রিপুরা জেলার সদর থানায় মামলা রুজু করেন।

এদিকে ২৭ এপ্রিল, রোববার সকালে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বালির ইজারাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তারা বলেন- মামলার ১নং আসামি মোঃ ইব্রাহীম সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক, ২নং আসামি সাগর নোমান জেলা ছাত্র দলের সহ- সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আফসারের মেয়ে জামাই।
আর সে প্রভাব খাটিয়ে জেলা শহরে চাঁদাবাজি, সাধারণ জনগণের সম্পদ দখল সহ সন্ত্রাসী কার্য কালাপের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। ৩নং আসামি আসাদুল্লাহ ৫ তারিখের আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দালাল ছিলেন, বর্তমানে বুনেগেছেন সম-অধিকার খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ৪নং আসামি মোঃ জাহিদ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ৫নং আসামি মোঃ সবুজ খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি।
এসময় এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে এনসিপি নেতা কর্মীরা ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।