উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে যোগসাজসের অভিযোগঃ ঢাকা ওয়াসায় নিয়োগ ছাড়াই ডিউটি করছেন সাজ্জাদুল ইসলাম!

Uncategorized অপরাধ


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-৩ এর উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল এর চাঁদা তোলার ক্যাশিয়ার সাজ্জাদুল ইসলামকে বিলিং সহকারী পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ওয়াসার প্রশাসন বিভাগের স্মারক নং:-৯৮১ তারিখ:-২৬/০৪/২৩ এ আউটসোর্সিং ভিত্তিতে সরবরাহকৃত জনবল প্রদানকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মর্ডান টেলিকম সিস্টেম” কে ১২ মাসের জন্যে কার্যাদেশ প্রদান করে। উক্ত কার্যাদেশে চুক্তি হতে সাজ্জাদুল ইসলামের নাম বাদ পড়েছে। পুনরায়, তার চুক্তিবব্ধ হওয়ার জন্যে ৮-১০ লক্ষ টাকা নিয়ে উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে চুক্তিবব্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে বলে একটি সূত্রে জানাগেছে। কারণ ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মচারীর বেতনশীট তৈরি করে হিসাব বিভাগে প্রেরণ করে। এবং ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ এবং তার মাধ্যমেই নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি করে থাকে। সাজ্জাদুল ইসলাম পূর্বের ডিসিআরও আবু সাইদেরও ক্যাশিয়ার ছিলেন। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সাজ্জাদ ইসলাম প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,সাজাদ্দুল ইসলাম লালমাটিয়া এলাকায় বিলিং এর কাজে নিয়োজিত ছিলেন তখন বাণিজ্যিক হোল্ডিং এ আবাসিক করে বিল নিতেন। বিষয়টি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নিকটে জানালে তখন তারা অর্থের মাধ্যমে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। তৎকালীন ডিসিআরও আবু সাইদ ও ফিল্ড অফিসার শাহীন মাতব্বরের মাধ্যমে। সাজ্জাদুল ইসলামের হোন্ডা করে ইব্রাহিম খলিল বিভিন্ন হোল্ডিং তদন্ত ও চলাফেরা করে থাকে । যদিও রাজস্ব জোন-৩ এর জন্যে মাসিক ভাড়াভিত্তিক তামিম এন্টারপ্রাইজ হতে ৮৯ হাজার টাকার ভিত্তিতে একটি গাড়ী বরাদ্দ দেওয়া আছে। গাড়িটি ব্যবহার না করে, ভাড়ার টাকা তুলে নেন। এছাড়া রাজস্ব জোন-৩ এ ৩টি লেগুণা আছে । এই ৩ টি লেগুণাতে ৮ হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকা তার বেতনের সাথে দেওয়া হয়। এই লেগুনার জ্বালানির টাকাটি ড্রাইভাররা ঠিকমতো পায় না। সাজ্জাদুল ইসলাম ও আরশাদ ইমাম ইব্রাহিম খলিলের মাধ্যমে বিলিং সহকারীর টার্গেট কম-বেশি করে থাকেন এবং একের অধিক বিল জারির কাজ বিলিং সহকারীকে দিয়ে থাকেন অর্থাৎ একজন বিলিং সহকারীকে দুইটি এলাকার কোড দিয়ে থাকেন। প্রত্যেক কার্যাদিবসে অফিস খোলার দিন ৮ হাজার টাকা করে স্পেশাল টিমকে খরচ দিয়ে থাকেন। আট হাজার টাকা তিনি কোথায় পান? সাজ্জাদুল ইসলাম দুটি কোড করে থাকেন সেগুলো হচ্ছে ১০৮ ,৪০৪ । আরশাদ ইমাম ১০৭, ৪০২। ইব্রাহিম খলিল মূলত এই দুইজনের মাধ্যমেই টাকা পয়সার লেনদেন ও দুর্নীতি করে থাকেন।
জানাগেছে, ইব্রাহিম খলিল জামায়াত ইসলামের ছাত্র সংঘটন ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা। তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং সেখান থেকেই এই ধারায় যুক্ত হোন। ঢাকা ওয়াসায় অডিট অফিসার হিসেবে ২০১৬ সালে যোগদান করেন ইব্রাহিম খলিল। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে কৌশলে ঢাকা ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এ মোস্তফা কামালে মজুমদারের মাধ্যমে ২০২১ সালে রাজস্ব জোন-২ এ রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জোন-৩ এ উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। রাজস্ব জোন-৩ এ এসে নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে বিলিং সহকারীদের টার্গেট কমিয়ে -বাড়িয়ে দেওয়া, কোড চেঞ্জ করার , গ্রাহকদের কর্মাশিয়াল থেকে আবাসিকে বানিয়ে দেওয়ার মতো অনিয়ম করে যাচ্ছেন। সাজ্জাদুল ইসলাম চুক্তিতে না থাকার পরেও তাকে অফিসে কাজ করিয়ে যাচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *