মোঃ আসাদুজ্জামান (বেনাপোল) : বেনাপোল স্থল বন্দরে আমদানিকারকরা বলছেন,এর আগে বেনপোল স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক কাঁচা মাল পচনশীল পণ্য আমদানি হত। কিন্তু বর্তমানে আমদানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ ট্রাকে রাজস্ব আদায়ও কমে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইনে বন্দরে ‘পঁচনশীল পণ্য সবার আগে প্রবেশ ও খালাসের নির্দেশনা’ থাকলেও বেনাপোলের বিপরীত ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ মানছে না। এতে করে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ায় বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে কাঁচা ফল পচনশীল পণ্য আমদানি’ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
বাংলাদেশ এর আমদানিকারকদের স্বার্থ বিবেচনা করে এরইমধ্যে পেট্রাপোল বন্দর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে, বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে তার সুফল এখনও দৃশ্যমান হয়নি।
ফলে অধিকাংশ পঁচনশীল পণ্যের চালান দিনের পর দিন প্রবেশ করতে না পেরে ভারতের ওপারেই নষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনো চালান সিরিয়াল পেয়ে রাতে প্রবেশের অনুমতি পেলেও তাতে লাভ হচ্ছে না
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলছিলেন,গত এক মাস ধরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সিরিয়ালের নামে পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর ২০ ট্রাক জেনারেল পণ্যের পর মাত্র ৫ ট্রাক পচনশীল পণ্য রপ্তানি নিয়ম চালু করেছে।
তিনি আরো বলেন, বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাতে কোনো পচনশীল পণ্য খালাস করতে দেওয়া হয় না। তাই পরেরদিন সকালের পরে বেনাপোল বন্দরে খালাসের ব্যবস্থা করতে হয়। এতে অধিকাংশ পণ্য পঁচতে শুরু করে।