# নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের মালিকানা # অসংখ্য ভুয়া ঋণ কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড # দুর্নীতি দমন কমিশনের তালিকায় অসংখ্য মামলার আসামি # অপরাধ ঠেকাতে রয়েছে কথিত টেলিভিশন ও পত্রিকার সাইনবোর্ড #
বিশেষ প্রতিবেদক : স্বৈরাচার সরকারের আর্থিক প্রতারক হিসেবে পরিচিত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক দুর্নীতির গডফাদার আলোচিত পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী ক্যাপ্টেন অব: মোয়াজ্জেম হোসেন ছাত্র জনতার গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট প্রতিবেশী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামাকে বাঁচানোর নয়া পয়গাম নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রতারক এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের অনুসন্ধানকালে একাধিক সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনায় ও হামলা করেন তারা। এব্যাপারে আদালতে হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় আর্থিক খাতে দুর্নীতি লুটপাট ও কেলেঙ্কারির দায়ে ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম এর বিরুদ্ধে দুদুকে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরদের ক্ষমতা ব্যবহার করে সকল অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে বেঁচে গিয়েছিল এই প্রতারক সিন্ডিকেট।
ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার ইহসান ই মোয়াজ্জেম মিলে আর্থিক খাতে লুটতরাজ সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারও এই সিন্ডিকেটের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র। সূত্রটি আরও জানায়, ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ ও রাফি-মাহি এন্টারপ্রাইজ নামের অস্তিত্বহীন কোম্পানি খুলে ঋণের নামে অসংখ্য আর্থিক লুটপাট করেছেন। আলোচিত পিকে হালদারের অন্যতম দোসর হিসাবে পরিচিত ছিল ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমের।
দেশের ব্যাংক খাতে ভুয়া ঋণের নামে লুটপাট ও দুর্নীতির এমন দুরবস্থায় যারা দুর্নীতির নাটের গুরু, তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা অন্যতম। গত ওয়ান ইলেভেনের নৈরাজ্য থেকে ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম নানারকম অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে সূত্র।