রাস্তা তৈরির সময় পানি চলাচল যেন ব্যাহত না হয়: প্রধানমন্ত্রী

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

একনেকে তিন প্রকল্প অনুমোদন

 

বিশেষ প্রতিবেদক : রাস্তা তৈরির সময় যাতে পানির চলাচল যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবারের একনেক সভায় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু নির্দেশনা দেন।
একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সেসব নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপারেশনের যে প্রকল্প সেখানে পুরো টাকাই সরকারের তহবিল থেকে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ কথাও তিনি বলেছেন, সিটি করপোরেশনগুলো বা স্থানীয় সরকারের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আস্তে আস্তে করে কীভাবে, কোন প্রতিষ্ঠান কী করবে, কিভাবে অর্গানাইজেশন থাকবে এটা পুরোটা রিভিজিট করতে হবে।’
আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগে, এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সচিব বা কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে এই বদলির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো গ্যাপ (বিরতি) না হয়। তার জন্য যারা থাকবেন এবং যারা নতুন আসবেন, তাদেরকে একটি অরিয়েন্টেশন করে তাদেরকে অবহিত করতে হবে।’
‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন দিয়েছে একনেক।
এ বিষয়ে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, ‘এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ইতিহাস হওয়ার মতো একটি বিষয় যে, তিনটা দেশের প্রথম রাস্তা। শেখ হাসিনা প্রথমবার যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় এটার ডিজাইন করা এবং সে সময় শুরু করা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র রাস্তা যেখানে ধীর গতির যানবাহনের জন্য একটা সাইড লেন আছে। আর যে নির্দেশনা উনি দিয়েছেন, সেটা হলো রাস্তা তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানির চলাচল কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রিজ, কালভার্ট ও পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে রাস্তা এদিক-ওদিক করতে হবে। বিশেষ করে বিল, হাওর-বাওর এগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ এগুলো আমাদের লাইফ লাইন, এগুলো ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রক্ষা করে, বিভিন্নভাবে পানি সরবরাহ করে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন।’
‘মামলার কারণে প্রকল্প দেরি হয়ে যায়। মামলা যখনই হবে, তখনই যেন উদ্যোগী মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়’, এই নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান এ সচিব।
এদিকে ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা’ নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে খরচ হবে ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।


বিজ্ঞাপন