নিজস্ব প্রতিনিধি : বিকাশ এজেন্ট ও পার্সোনাল একাউন্ট থেকে, ভুয়া সীমকার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ কারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার, ও তাদের দখলে থাকা ৮ টি মোবাইল সেট সহ ১১ টি সীম উদ্ধার করেছে মাদারীপুর সিআইডি পুলিশ।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর থানার মামলা নম্বর ৩১ ২৫/০৮/২০২১ ধারা ২০১৮ সনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৩/২৪/২৬/৩০/৩৩/৩৫।
মামলায় বাদী আঃ আজিজ (৩৫) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৩৭৪৯৮৩৩২৩৬ পিতা মৃত মোকসেদ আলী সাংসরদার কলোনী,পৌরসভা, থানা ও জেলা মাদারীপুর।
তিনি একজন কনফেকশনারি দোকানদার, তিনি বিকাশের একটি নতুন এজেন্ট নেন।কিন্তু তা এখনো লেনদেন শুরু করেন নাই।
ইতিমধ্যে গত ২৩ অক্টোবর একটি অজ্ঞাত নামা মোবাইল নম্বর ০১৯৩০৮০৮১৮২ হতে বাদীর মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে,আপনাকে আমরা বিকাশ অফিস হতে ফোন ধরেন না কেন? আপনার বিকাশ নম্বর চালু হয়েছে,আপনি পাশের কোন দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা ভরেন,তাহলে আপনার কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
একাধিক বার ফোন দিয়ে আরো টাকা ভরতে বলে।বাদী আরো ৭০ হাজার টাকা মোট ১ লাখ টাকা ভরে।আাসামীরা কৌশলে বিকাশ এ্যাপস হতে নাম্বার জানতে চাইলে বাদী বলে দেয়,কিছু ক্ষন পর দেখেন মোবাইলে টাকা নাই।উক্ত ঘটনায় বাদী সদর থানায় জিডি করেন।
কিন্তু কোন অগ্রগতি না পেয়ে সিআইডি মাদারীপুর পুলিশ এর সহায়তা চাইলে মাদারীপুর সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মনজুর হোসেন, এস আই গোপাল কুমার পাল ও সংগীয় ফোর্স সহ জিডিতে উল্লেখিত মোবাইল নম্বর এর সুত্র ধরে সিআইডি LIC এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন দেওড়া এলাকায় মোল্লা বাড়িতে উক্ত মোবাইল নম্বর ও ডিভাইসটি কাজ করছে।
বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষ কে অবহিত করে অভিযান পরিচালনা করে, উক্ত স্থান হতে মোবাইলের ডিভাইস দিয়ে ভুয়া সীমকার্ড দিয়ে মানুষের সাথে কথা বলার সময় আসামি জাকির মোল্লা (৩৫) পিতা আজিমউদ্দিন মোল্লা, মোঃ ইউনুস আলী (৩৩) পিত আঃ মোতালেব এবং হিমেল তালুকদার (২২) পিতা কালামিয়া তালুকদার সর্ব সাং দেওরা ভাংগা জেলা ফরিদপুর গণকে ৮টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট ও ১১ সীমকার্ড সহ হাতে নাতে ধৃত করা হয়।
আসামি দের জিজ্ঞাসা বাদে স্বীকার করে যে তারা ইতিপূর্বে বহু মানুষের সাথে একইভাবে প্রতারণা করে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সুত্রে বর্নিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মনজুর হোসেন আসামি দেরকে জিজ্ঞাসা বাদ শেষে মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর আদালতে প্রেরণ করেছে। মামলার অপরাপর সহযোগী দের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।