আজকের দেশ ডেস্ক ঃ ২০০১-০৬ সাল ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার যুগ। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিপীড়ন, নির্যাতনে বিপর্যস্ত ছিলো পুরো দেশ। শুধু তাই নয় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ পৃথক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্তহীনতার পরিচয় দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা জাহির করে।
তথ্যসূত্র বলছে, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছিল দেশের বিদ্যুৎ খাত। এই খাতে হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি করেন তারেক-মামুনরা। বিদ্যুৎ সংযোগের নামে সারাদেশে খাম্বা পুতে রেখেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিদ্যুতের বেহাল দশায় কার্যত দেশের মানুষ তখন আলোর
চেয়ে অন্ধকারেই থাকতো বেশী। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা ছিল সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ। তৎকালীন সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে উত্তরাঞ্চলে দেখা দেয় মঙ্গা। জোট সরকারের আমলে সার সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে।
সমাধানের বিপরীতে কৃষকের বুকে গুলি চালিয়ে কৃষকের প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছিল। বোমা হামলা, ইসলামি জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসবাদে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষ।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে কাজ পেতে তারেকের হাওয়া ভবনে কমিশন দেওয়ার ঐতিহ্য স্থায়িত্ব পেয়েছিল তৎকালীন সময়ে।
দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন হলেও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ বেড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ ছিল তখন বিশ্বের দরবারে শীর্ষ দুর্নীতির দেশ। চার দলীয় জোট সরকারের দুর্নীতির কারণে সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল।
বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় নেমে পুলিশের গুলিতে রাজশাহীর কানসাটে সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় চারদলীয় জোট সরকারের দুই বাণিজ্যমন্ত্রী ও এক উপদেষ্টা বদল হয়েছিল। তারপরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
চার দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই একের পর এক খুন, ডাকাতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছিল। দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।