রাষ্ট্রদূত মিশেল সিসন কর্তৃক বাংলাদেশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে অভিনন্দন জ্ঞ্যাপন

Uncategorized আন্তর্জাতিক

কুটনৈতিক প্রতিবেদক ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অ্যাম্বাসেডর মিশেল জে. সিসন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সেক্রেটারি) অ্যাম্বাসেডর মাসুদ বিন মোমেনের সাথে সোমবার ৮ আগস্ট, বিকেলে সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রদূত মিশেল সিসন বাংলাদেশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে, উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বিষয়ে অকপটে আলোচনা করেন।

তারা বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে অগ্রাধিকারের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

রাষ্ট্রদূত সিসন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) প্রতি প্রসারিত বাংলাদেশের মানবিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদী আতিথ্যের কোনো ধারণাই বাংলাদেশ গ্রহণ করে না এবং মিয়ানমারে তাদের অবিলম্বে নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের দিকে নজর দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত মিশেল সিসন দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদানে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে (পিকেও) বিশেষ করে পিকেওতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন।

দু’জনেই বহুপাক্ষিক ফোরামে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন। কলের পর, রাষ্ট্রদূত মিশেল সিসন তার সম্মানে পররাষ্ট্র সচিব কর্তৃক আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব অ্যাম্বাসেডর সিসনের নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তারা শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকট এবং সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন, G77 গতিশীলতা এবং UNESCAP-এ বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন।

রাষ্ট্রদূত সিসনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বিকেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *