নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রবিবার ১৪ আগস্ট,শ্রম আদালতের জমে থাকা মামলাসমূহ শ্রেণি বিন্যাস করে দ্রুত নিষ্পত্তিকরণে ১০ শ্রম আদালতের বিচারকগণের অংশগ্রহণে একটি সময়োপযোগী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ১৩ আগস্ট রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে”এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্যা জাজেস অব দ্যা লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস” শিরোনামে প্রথমবারের মতো এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিচারকগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, নিরুপায় হয়েই শ্রমিকরা শ্রম আদালতে মামলা করেন। অসহায় এসকল শ্রমিকদের মামলা ফেলে রাখবেন না।
শ্রমিকদের করা পাওনা আদায়ের মামলা দিনের পর দিন ডেট পড়লে শ্রমিকরা পেটের তাগিদে মামলার পিছনে আর হাঁটে না, ফলে শ্রমিকরা তার পাওনা বঞ্চিত হয়। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তখন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠত হয় না।
প্রতিমন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রম আইন বিশেষ ধরণের আইন, শ্রম আদালতের মামলা বিচার করতে গেলে শ্রম আইনের ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। মামলার দীর্ঘসুত্রিতায় ন্যায় বিচারের অন্তরায়। জাতির পিতা সমাজে সাম্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সমাজে সাম্যতা প্রতিষ্ঠায় কোন বিকল্প নেই মামলার শ্রেণি বিন্যাস করে যেসকল মামলার তারিখ দেয়ার প্রয়োজন নেই সেসকল মামলা এক শুনানিতেই নিষ্পত্তি করে দেবেন। তিনি অসহায় শ্রমিকরা শ্রম আদালতে দ্রুত রায় পেলে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ সহজ হবে।
কর্মশালায় শ্রম আপীল ট্রাইব্যূনাল এবং সারা দেশের ১০ শ্রম আদালতে ২৪৯০৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এর মধ্যে ঢাকার তিনটি আদালতেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে ২১হাজার ২০৯টি বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মাইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি: টুমো পোটিআইনেন বক্তৃতা করেন। দিনব্যাপি এ কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম আপীল ট্রাইব্যূনাল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক।