!! ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন প্রধান শিক্ষক !! “স্পট “শার্শা সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়

Uncategorized অন্যান্য

যশোর প্রতিনিধি ঃ
যশোর জেলার শার্শা সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণীর শাফায়েত মাহমুদ প্রান (১৪) নামের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাফায়েত মাহমুদ (প্রান) কে তার রুমে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে আহত করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। ৮ম শ্রেণীর ছাত্র গুরুতর আহত অবস্থায় তার পিতা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছে।

এ ব্যাপারে ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত ছাত্রের পিতা আনছার আলী। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার রুমে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে আনছার আলীর ছেলে বাড়ী থেকে স্কুলে যায়। পরে তিনি দুপুরে জানতে পারেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলে শাফায়েত মাহমুদ (প্রান) কে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার রুমে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। তৎক্ষনিক ভাবে তিনি ছেলেকে নিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে নির্যাতনের বিচার চাই। এর আগে অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। প্রতিষ্ঠানের কিছু দূষ্কৃতি কারীরা আমর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুল ছাত্রের পিতা আনছার আলী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের কারণে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে বলে অনেক অভিভাবকরা জানিয়েছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবকবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেলও খেটেছেন। তারপরও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এ ধরনের মধ্যেযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *