সুমন হোসেন, (যশোর) ঃ
যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে মাদক পাচার কালে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য সহ সোহাগ মিয়া (বড় বাবু) (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। তবে অপার দুই মাদক কারবারি আজাদ খান প্রাইভেটকার রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক সোহাগ মিয়া বেনাপোলের সাতমাইল এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর, ভোর তিনটার দিকে বেনাপোল কাগজপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণের মাদকদ্রব্য সহ তাকে আটক করেন। এ সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করেন।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যদের মধ্যে রয়েছে, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ হাজার ৯৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪ কেজি গাঁজা।
যশোর ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্ণেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী গণমাধ্যম কে জানান, বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর, ভোরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে বেনাপোল বিওপি ক্যাম্পের সুবেদার আহসানুল্লাহ জানতে পারে বেনাপোল কাগমারি এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে।
সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে বেনাপোল কাগজপুকুর এলাকায় অবস্থান নেন তিনি। মাদক কারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে রাত তিনটার সময়ে প্রাইভেটকার রেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করে সোহাগ মিয়া (বড় বাবু) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে তার সহযোগী আজাদ খান পালিয়ে যায়।
এরপর প্রাইভেট কারটিতে তল্লাশি করে প্রাইভেট কারের ব্যাকডালার ভিতরে অতিরিক্ত চাকা রাখার স্থানে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ হাজার ৯৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ৫০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর উপর ভিত্তি করে জানা যায়, কাগজপুকুর আমড়াখালি এলাকার মিলন (ছোট বাবু) (৩৫) এর বসত ঘরে বিপুল পরিমান স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।
সকাল ৯ টার দিকে সেখানে তার ঘরে অভিযান চালিয়ে কোন স্বর্ণ পাওয়া যায়নি। তবে স্বর্ণ, ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাজা প্যাকিং ম্যাটেরিয়াল (স্কচচেট), স্বর্ণ ভাগ করা ও কাঁটাতারের বেড়া কাটার জন্য একটি বড় কেচি (সিজার) উদ্ধার করার হয়। দুপুরে আটককৃতির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল ভূয়া জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।
