মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে এবার শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন নামের শিক্ষক ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে উস্কানি,নেপথ্যে রয়েছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য।
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত সমালোচিত বিতর্কিত শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের কোচিং বাণিজ্যের সার্থে এবার হাতিয়ার হিসাবে কোমলমতি ছাত্রদের জিম্মি করে কোচিং বাণিজ্য করতে বাধ্য করাই নয়,ছাত্রদেরকে ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ শিখিয়ে আন্দোলন করানোর অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক নামের কলঙ্ক বিতর্কিত কিশোর গ্যাং এর গুরু মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত আলোচিত সমালোচিত শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যে জিম্মি হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী অভিবাবক’রা। সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি,নড়াইলের শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের খুটির জোর কোথায়? শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ শিখিয়ে আন্দোলনে বাধ্য করেন তিনি। (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে কোমলমতি ছাত্র’রা মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়। এসময় সাংবাদিক’রা ছাত্রদের আন্দোলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র’রা ভয়ে এলোমেলো কথা বলতে থাকে। এসময় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র লাবিব ফারহান বলেন,আগের দিন মঞ্জুর সারের কাছে পড়ে বাড়ি যাবার সময় কয়েকজন সাংবাদিক আংকেল আমার কাছে জিজ্ঞেস করে,মঞ্জুর সারের কাছে কতজন পড়ি,কত টাকা করে পড়ি,এরপর বন্ধু’রা আমাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে বন্ধু’রা আমাকে মারছে। আজকে (২০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার মঞ্জুর স্যার আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শিখিয়ে দিয়েছে। অর্দি,কায়েসসহ কয়েক বন্ধু আমাকে জোর করে মিছিলে নিয়ে গেছে এবং আমি মিছিলে না গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি ভয় পাচ্ছি,কয়েকদিন আগে কোচিং ক্লাসে সাংবাদিক আংকেল’রা আসলে মঞ্জুর স্যার বড় ভাইদের ডেকে এনে সাংবাদিক আংকেলদের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এসব বড় ভাইয়ে’রা মঞ্জুর স্যারের অধীনে কাজ করে। স্কুল শিক্ষার্থী লাবিব আরো বলে,সে আগে মঞ্জুর স্যারের কাছে পড়ত না,তাকে ফেল করার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসে আসতে বাধ্য করেছে। মঞ্জুর স্যার জোর করে বলে পড়লেও টাকা দিতে হবে,না পড়লেও টাকা দিতে হবে,আর না পড়লে তোমরা বিপদে পড়বা। নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার গর্বিত পিতা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন মুঠোফোনে মঞ্জুর হোসেনের কাছে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়ে মিছিল করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুর হোসেন বলেন,সাংবাদিক’রা ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিছে তাই ছাত্র’রা আন্দোলন করছে। এ বিষয়ে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না,আমি দেখছি কি করা যায়? এদিকে সাংবাদিকদের সাথে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায়,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান খন্দকার আসিফুর রহমান বলেন,কোচিং বাণিজ্যের হোতা শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন তার অবৈধ ব্যবসা বৈধ করার সার্থে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে এবার সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা স্লোগান ও মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়ে সম্মানহানির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির পক্ষ থেকে শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাই এবং এহেন কর্মকান্ডের তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এদিকে,বিতর্কিত শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বিতর্কিত শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন বিপাকে পড়ে কুচক্রী মহল দ্বারা সাংবাদিকদের সাথে আপস মীমাংসার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে।
মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল সদর নড়াইল।
মোবাঃ01730895060