নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল, সন্ধ্যায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল, সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ উত্তর দিকে আলুগোলা এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় দ্রুত গমন করতঃ নাফ নদী সংলগ্ন কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক রাত ৭ টা ৫০ মিনিটের সময় টহলদল ৫/৬ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে এবং পূর্ব থেকেই নাফ নদীর তীরবর্তী কেওড়া বাগানে কৌশলগত অবস্থায় থাকা বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বর্ণিত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই নৌকা হতে লাফিয়ে অন্ধকারের সুযোগে কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল বর্ণিত স্থানে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া নৌকার পাটাতনের নীচে লুকায়িত অবস্থায় ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভেতর হতে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের জন্য ব্যবহৃত নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।