নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

এরই টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ১,৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১টি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়েছে, এ খবর নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস।

জানা গেছে, সোমবার ১২ জুন রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানি নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস, এর নেতৃত্বে সাবরাং বিওপি হতে বিজিবি’র একটি টহলদল উল্লেখিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক রাত ৩ টা ২০ মিনিটের সময় টহলদল ৪ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্যলাইন হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে।
নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবি টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা হতে লাফিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পোঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে একটি কাঠের নৌকার ভিতর হতে কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ০৩টি পোটলা উদ্ধার করে তার ভেতর থেকে ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
বিজিবি টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ভোর সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন মাদক কারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় তাদেরকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস, জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।