কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৪৫,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার 

Uncategorized আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ  বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৪৫,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার  করা হয়।


বিজ্ঞাপন

আজ সোমবার  ১৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ  বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ হ্যাচারখাল নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে।


বিজ্ঞাপন

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি টহলদল কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং অপর একটি টহলদল নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে।

আনুমানিক সন্ধ্যায়  ৭ টা ২০ মিনিটের সময় বিজিবি টহলদল চারজন লোক কে  একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূণ্যলাইন অতিক্রম করে হ্যাচারখাল এলাকার দিকে আসতে দেখে।

এসময় উভয় টহলদল নৌকাটিকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিগণ রাতের অন্ধকারের সুযোগে নাফ নদীতে একটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে দ্রুত সাঁতরিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে নাফ নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৪৫,০০০ (পঁয়তাল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার  করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদব্য বহনের দায়ে নৌকাটিও জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উল্লেখিত  এলাকায় সাড়ে ৮ টা   পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *