জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও মিলছে না সরকারি দপ্তরের তথ্য। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে আবেদন ১ মাস ধরে ফাইলবন্দী পড়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে জামালপুর জেলার বিভিন্ন দপ্তরে এমন বেশকিছু আবেদন সরকারি অফিসগুলোতে ফাইলবন্দী পড়ে আছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার কামনায় আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহেল কাফির কাছে আপিল আবেদন করেছেন দৈনিক জনবাণী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এবং দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান।

জানা গেছে, অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে । তথ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকরাই দেওয়ানগঞ্জে সরকারি তথ্য পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তি কল্পনার বাইরে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কাবিখা ও কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধকৃত অর্থ প্রকল্প কমিটিদের যোগসাজশে প্রায় ২০% কাজ করেই বিল উত্তোলন করা হচ্ছে৷ প্রকল্পের কাজ হোক বা না হোক, ভালো হোক বা মন্দ, অচল হোক বা সচল ১৫ থেকে ২০% পিসি দিলেই টিআর কাবিখা কাবিটার সব প্রকল্প হালাল হয়ে যায়। এ আর পিসি গুলো সংগ্রহ করা হয় কার্য সহকারী সোহেলের মাধ্যমে।

যার ফলে সরকারের বরাদ্ধকৃত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র ও কার্য সহকারী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা সহ উন্নয়ন কমিটিরা৷ এদিকে খণ্ডকালীন অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়ে প্রকল্পের পিসি বাণিজ্য সহ দায়িত্ব পালনে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ইসলামপুর চলতি দায়িত্ব থেকে ৫ মে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(চলতি দায়িত্ব) পদ থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজ্জামান খানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তিনি দেওয়ানগঞ্জ একই কায়দায় পিসি সংগ্রহ করার মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত আছেন। তার সাথে জড়িত আছেন জেলার অনেক কর্মকর্তারা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

ণমাধ্যমকর্মী মাসুদুর রহমান অভিযোগ করেন,২০২৪ -২৫ অর্থবছর এর ১ম ও ২য় এবং ৩য় সাধারণ বরাদ্দের টিআর, কাবিটা, কাবিখা তালিকা ও প্রকল্প কমিটির তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার (আইনের বিধি ৩-এর ফরম ‘ক’) অনুযায়ী ৭ আগস্ট দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খবিরুজ্জামান খান বরাবর আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) খবিরুজ্জামান খান তাকে তথ্য প্রদান না করে নানা তালবাহান করতে থাকেন।দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তথ্য না পাওয়ায় আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১), (২), (৩) অনুযায়ী রবিবার জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরাবর তিনি আপিল (আইনের বিধি ৬-এর ফরম ‘গ’) আবেদন করেন। এরপরও তথ্য না পেলে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: খবিরুজ্জামান খান জানান, একটি আবেদন পেয়েছিলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অনুমতি ছাড়া তথ্য প্রদান করা যাবে না । এদিকে দীর্ঘ ১ মাস হলেও কোন কারণে তথ্য প্রদান করবেন না এ বিষয়ে চিঠি আকারে আবেদনকারীকে জানিয়েছেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি এডিয়ে যান।
অন্যদিকে জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহেল কাফী জানান, একটি আপীল আবেদন পেয়েছি।