নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর, সাড়ে ১১ টার সময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারী পুলিশ সদস্য, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপস) উত্তম কুমার পাল পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি/সদরদপ্তর অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোঃ আবু বকর সিদ্দীক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোঃ আবু মারুফ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ আবু সাইম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মেনহাজুল আলমসহ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ এবং রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার অধিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এরপর পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাসমূহের স্মৃতিচারণ ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এরপর উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ), উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) পর্যায়ক্রমে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর পুলিশ কমিশনার পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
পরিশেষে তিনি পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্বগাঁথাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধযোদ্ধাদের উত্তরসূরী হতে পেরে আমরা গর্বিত।” তিনি এ গৌরবময় ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহবান জানান। তিনি মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে হৃদয়ে লালন ও ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমেই মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
