নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: লেলিন প্রধান ছাত্রদের বিভিন্ন প্রকার তথ্যদিতে গড়িমিশি করে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের তোপের মুখে ষ্টোর রুম দেখাতে বাধ্য হলেন তিনি।
মঙ্গলবার ২০ আগষ্ট বিকালে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমাজ লোহাগড়া প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: লেলিন প্রধানের অফিসে যেয়ে তথ্য চাইলে তিনি ছাত্রদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ছাত্ররা ষ্টোর রুম দেখতে চাইলে সেখানে ও আপত্তি জানান, তারপর তিনি ছাত্রদের তোপের মুখে পড়ে ষ্টোর দেখাতে বাধ্য হলেন।
তারপর ওই ষ্টোর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রচুর পরিমাণ ওষুধ পাওয়া যায়। ছাত্ররা ডা: লেলিনকে জিজ্ঞেসা করেন আপনি কেন ৫ মাস পার হওয়ার পরেও সাংবাদিকদের তথ্য দেন নাই।
এতে প্রতিয়মান হয় যে আপনি দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তথ্য দেন নাই। তখন তিনি বলেন এটি আলাদা প্রসঙ্গ। তাছাড়া তিনি সাংবাদিকদের দেখে বলেন এনারা কি আপনাদের সঙ্গে, উনি কেন তথ্য দিচ্ছেন না এটা জনে মনে প্রশ্ন উঠেছে। অপরদিকে ওই কর্মকর্তার নামে গাইবান্ধা জেলায় নারীশিশু আদালতে একটি মামলা চলমান আছে যাহার নং ১৭০/২৩।ওই মামলায় জামিনে আছেন।
এঘটনায় ছাত্ররা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোন ঘটনা জানালে তিনি তাৎক্ষণিক এসিল্যান্ড কে ঘটনা স্থলে পাঠান। এসিল্যান্ড এসে সমোঝোতায়ই ছাত্রদের ৩ দিনের মধ্যে সকল প্রকার তথ্য দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। তখন উদ্বুদ্ধপরিবেশ শান্ত হয়। এবং ওই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।