পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রমজান আলি প্রমানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমান আইনে ধর্ষণ মামলা 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক :   রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট ডিওএইচ এস আবাসিক এলাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রমজান আলি প্রমানিকের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগে মামলা করেছেন নুরনেসা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী নারী। আর ধর্ষণে সহযোগিতা করছেন রমজান আলির বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান। তিনি তার নিজ ফ্লাটে নুরনেসা আক্তারকে নিয়ে আসেন। ধর্ষিতা নারী নুরনেসা আক্তারের সঙ্গে আগে পরিচয় থাকলেও ঘটনার দিন সরল বিশ্বাসে দেখা করতে আসেন। অনন্যা সুপার মার্কেটের সামনে আসলে রিকশাযোগে ডিওএইসএস এর তাঁর বন্ধু আশরাফুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যান।


বিজ্ঞাপন

সেখানে তরল খাবারের সাথে নেসা জাতীয় দ্রব্য পান করে অচেতন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেন রমজান আলি। পরে ভুক্তভোগী নারী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করতে সামান্য বিলম্ব হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলা নম্বর ১১ তাং ২৯/৫/২০২৪ ধারা ৯/১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমান আইন ২০০০সংশোধিত ২০২০, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধ।


বিজ্ঞাপন

গত ২২ জুন আসামি রমজান আলিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আরিকুর ইসলাম সৈকত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে গত ৬ মে বিকেল অনুমান ৫টার দিকে ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় অনন্যা সুপার মার্কেটের সামনে আসতে বলেন। ওই নারীর রাজধানী মুগদা এলাকায় মদিনাবাগে এম এম টাওয়ারে আটজনের নামে ৬ কাঠা জমির প্লট রয়েছে। উক্ত জমিতে ভবন নির্মাণে ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক লোন প্রয়োজন।

ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের প্রতি আশ্বস্ত হয়ে ব্যাংক থেকে লোন তুলে দিবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে আলোচনায় বসার জন্য হোয়াটঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে পুলিশ প্লাজা ও সুটিংক্লাবের সামনে একাধিকবার তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। কীভাবে কোথায় কবে টাকা উত্তোলন হবে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কথা পাকাপাকি হলে গত ৬ মে ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভুক্তভোগিকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন অন্যান্য সুপার মার্কেটের সামনে থাকতে বলেন। সে সরল বিশ্বাসে উক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁর বন্ধু আশরাফুল আলম রেজোয়ানের ৪৯২/১ লেন -৯ লিফট-৩ বাসায় সামনের রুমে নিয়ে যান।

বিষয়টি ষড়যন্ত্র বুঝতে পারলে কিছু বলার আগে দরজা বন্ধ করে দেন এবং বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন রমজান আলি। তিনি আরও বলেন যদি কোনো শব্দ কর তাহলে জানে শেষ করে দেবো এবং লাশ গুম করে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেবে। তারপর ভয়ভীতি দিয়ে তরল জাতীয় দ্রব্যের সাথে নেশা জাতীয় কিছু পান করিয়ে অচেতন হলে তাকে বিবস্র করে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

মিশন শেষ করে ধর্ষণের আলামতগুলো টয়লেটের কোনে লুকিয়ে রেখে বেরিয়ে আসেন। ওই সময় ভুক্তভোগী নারীর জ্ঞান ফিরলে অনেক সু-কৌশলে আলামতগুলো নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন এবং মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। যাওয়ার সময় রমজান আলি প্রমানিক হুমকি দিয়ে আরও বলেন, এ কথা কাউকে বললে এবং মামলা মোকদ্দমা করলে পরিণতি ভাল হবেনা। ধর্ষিতা নারী নিরুপায় হয়ে বিষয়টি বাসায় খবর দিলে তাঁর আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে অসুস্থ নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সামান্য সুস্থ হলে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

জানা গেছে আসামি রমজান আলি নঁওগা জেলার রানীনগর উপজেলার কয়াকুঞ্চি গ্রামের মরহুম কাশেম আলির বড় ছেলে । তিনি সপরিবারে বনানীতে বসবাস করতেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার সাক্ষী আলতাফ হোসেন আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, রমজান আলি নির্মাণাধীন বাড়ির জন্য লোন তুলে দিবেন আমরা আগে থেকে জানতাম। সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।আমরা তাঁর শাস্তি দাবি করছি।

আশরাফুল আলম রেজোয়ান অদৃশ্য কারণে মামলায় বাদ পড়ার কারণসহ বিস্তারিত আসতেছে পরবর্তী সংখ্যায় চোখ রাখুন আমাদের মাতৃভূমির অনলাইন এবং পত্রিকার পাতায়। আরও বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী সংখ্যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *